বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী এবং তুরস্ক -(শহীদ কামারুজ্জামান)

আমি যেখানে যুদ্ধ করতে চাই সেখানে পরিস্থিতি বেশি বিপজ্জনক। আমি ট্রেন্টের পিছনে থেকে যুদ্ধ করতে চাই না। আনাতোলিয়ার চাইতে এখানকার অবস্থা বেশি বিপজ্জনক বলে আমি মনে করি।
তবে তাদের পীড়াপীড়ির কারণে বদিউজ্জামান তার তিন ছাত্র পাঠান। তারা হলেন- তৌফিক দেমিগরুলু, মোল্লা সোলায়মান এবং মেজর রফিক বে। তাদের মাধ্যমে তিনি জাতীয় সরকারের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন জানান। অবশেষে তার পুরনো বন্ধু পার্লামেন্ট মেম্বার এবং ভ্যান-এর সাবেক গভর্নর তাহসিন বে-এর আমন্ত্রণে তিনি আনকারা যেতে বাধ্য হন।
নাজমুদ্দিন শাহিনার লিখেছেন, বদিউজ্জামান ট্রেনযোগে ঈদুল আজহার প্রায় এক সপ্তাহ আগে আনকারা পৌঁছেন। পার্লামেন্টের একজন যোগ্য ক্যাপ্টেন আব্দুল গণি আনসারীর সাথে এক অনুষ্ঠানে বদিউজ্জামান ঈদের আগের দিন আলাপ করছিলেন। বদিউজ্জামান ক্যাপ্টেন আবদুল গণিকে বলেন, আমার মাথা কেটে ফেলা হবে। আব্দুল গণি এতে খুবই আতঙ্কিত হয়ে গেলেন। অতঃপর বদিউজ্জামান ব্যাখ্যা করলেন, যদি আমার নাম থেকে প্রথম বর্ণ বাদ দেয়া হয় অর্থাৎ সাঈদ শব্দটি থেকে সিন বাদ পড়ে বা কাটা পড়ে তাহলে ঈদ শব্দটি থেকে যায়, যার মানে উৎসব। তাহলে আগামীকাল ঈদ হওয়ার মানে হচ্ছে আমার মাথা কাটা যাওয়া। এই কৌতুকে সবাই আনন্দ উপভোগ করেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম তার শেষ ধাপে পৌঁছাচ্ছিল তখন...
অনলাইনে পড়তে দেখুনঃ লিঙ্ক
ডাউনলোড | মিডিয়াফায়ারলিঙ্ক |
ডাউনলোড | গুগলড্রাইভ লিঙ্ক |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন