এনিম্যান
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
কেমন হবে যদি সবাই হঠাৎ করে পোষা পশুপাখী ছেড়ে মানুষ পুষতে আরম্ভ করে? যদিও এই মানুষ গুলোতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়া্রিং করে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। যেমন ওরা কোন কথা বলতে পারবে না, সারাক্ষন হাসবে। দুঃখ পেলেও হাসবে। এদের বুদ্ধিমত্তা হবে সীমিত, স্মৃতিশক্তি হবে দুর্বল। গুপ্ত কিন্তু খুব ক্ষমতাবান এক সংগঠন "এপসিলন" তৈরা করা শুরু করল মানুষ আর পশুর সংমিশ্রণে এই নতুন প্রজাতি, যার নাম "এনিম্যান"...
রিভিউ ebookststallbd.blogspot.com :মানুষ আর পশুর সংকরায়নে উদ্ভূত এক নতুন প্রজাতি এনিম্যান। তাদের আয়ু দশ বছর। কিন্তু মানসিক বয়স সবসময়েই ছয় সাত বছর। তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে এই উদ্দেশ্যে যাতে মানুষ যেভাবে কুকুর বা বিড়াল পোষে, তেমনি করে এদের পুষতে পারে। এরা কথা বলতে পারে না। এরা শুধু হাসে। যেকোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এরা শুধু হাসে। আনন্দেও হাসে, দুঃখেও হাসে। তাই বলে কি তাদের মনে কোন দুঃখ নেই? মানবীয় আবেগ নেই? কেউ তা জানে না। কিন্তু তিষা একসময় এমন অনেককিছু জেনে ফেলল, যা তার জানা উচিৎ ছিল না। এনিম্যানদের জন্মের রহস্য বা তাদের আচরণগত যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সেসবের কার্যকারণ যদি মানুষ জেনে ফেলে তবে এনিম্যান প্রস্তুতকারকদের যে বেজায় সমস্যা! কিন্তু তবু তিষা আর তার বন্ধু জন খুঁজতে লাগল সেইসব রহস্যের সমাধান। কিন্তু এর ফলে একসময় তাদের জীবন পড়ল হুমকির মুখে। শেষপর্যন্ত কি তিষা আর তার বন্ধু জন বেঁচে থাকতে পারল? তারা কি এনিম্যান রহস্যের কোন কিনারা করতে পারল? বিশ্বের সামনে কি ফাঁস হয়ে গেল এনিম্যান সৃষ্টির পেছনের করুণ ইতিহাস? জানতে হলে পড়তে হবে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সাইন্স ফিকশন 'এনিম্যান।' স্রেফ একটা কিশোর উপযোগী সাইন্স ফিকশন হিসেবে এটিকে বিবেচনা করলে ভুল হবে। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের জাদুকরী লেখা আর বিজ্ঞানের অপব্যবহারের নিখুঁত বর্ণনার আড়ালে ফুটে উঠেছে পুজিবাদি ও বস্তুবাদি বিশ্বের ভয়াল রূপ। কেউ যদি এই রূপের ভয়াবহতা স্রেফ গল্প পড়ার ছলে আস্বাদন করতে চান, তবে তার জন্য 'এনিম্যান' অবশ্য পাঠ্য।[/TD]
প্রচ্ছদঃ
![Click this image to show the full-size version. [IMG]](http://i1284.photobucket.com/albums/a573/Banglapdf/Animan_zps8ad9b53e.jpg)
নমুনা পাতাঃ
ওয়াটারমার্ক এবং পাসওয়ার্ড-মুক্ত
কিছু তথ্যঃ
পৃষ্ঠাঃ ১২৮
প্রকাশনাঃ সময়
প্রকাশকালঃ ২০১৪ বইমেলা
সাইজঃ ৩.৪৬ মেগাবাইট
রেজুলেশনঃ ৩০০ DPI
DOWNLOAD From Google Drive:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন